চট্টগ্রাম ১৫ আসনের সাতকানিয়া ধানের শীষের ব্যানার লাগানোর অপরাধে আজম (৫০) নামের এক বয়স্ক বৃদ্ধ সমর্থক কে শনিবার সকালে গারাংগিয়া মজিদিয়া মার্কেটস্থ নিজ কার্যালয়ে গ্রাম পুলিশ দিয়ে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করেন স্থানীয় আওয়ামী সমর্থিত চেয়ারম্যান ও তিনটি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নেজাম উদ্দীন।
সেখানেই ক্ষান্ত হননি সেই আওয়ামী নেতা নেজাম উদ্দীন। আজ রোববার ধানের শীষের প্রচারের মাইকিং চলাকালে সোনাকানিয়া মজিদিয়া মাদ্রাসার সামনে সেই গাড়ি আটকিয়ে রেখে তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। সেই সাথে মাইকিংরত কর্মীদের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে চেয়ারম্যান নেজাম। ছিনিয়ে নেওয়া হয় ধানের শীষের প্রচারের গাড়িতে থাকা দুইটি মাইক।
চেয়ারম্যান নেজাম আটককৃত সমর্থককদের হুমকি দিয়ে বলেন ভোটের আগে যেন তারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। অন্যথায় ধানের শীষের সমর্থকদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে গুলি করা হবে।
তিন হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান নেজাম বলেন ৩০ তারিখ শুধুমাত্র তারাই এলাকায় থাকতে পারবে যারা নৌকার সমর্থক। অন্য কোন দলের কাউকে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
স্থানীয় জনসাধারণ অভিযোগ করে বলেন, তাদের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান নেজামের অত্যাচারে দিশেহারা এলাকাবাসী। এমনকি তার অত্যাচারে ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন অনেকেই।
গারাংগিয়ায় থেমে থাকেনি ধানের শীষের সমর্থকদের উপর সরকার দলীয় সমর্থকদের নির্যাতন। রোববার সকালে সাতকানিয়ার নদী কবলিত এলাকা চরতিতে ধানের শীষের চার সমর্থকদের আটক করে পৈশাচিক অত্যাচার চালায় নৌকার ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম সন্ত্রাসী মাসুদ তারেক নেতৃত্ব তার সন্ত্রাসী দল । সেই সাথে তাদের কে হত্যার হুমকি দেয় তারা। এই ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনে অভিযোগ করা হলে কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো মামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এমন অবস্থায় ধানের শীষের সমর্থকদের আশা এই কঠিন নির্যাতনের হোতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে নির্বাচন অনুষ্টানে দায়িত্বরত নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও সাধারন জনগনের আশার শেষ ভরসা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।